two factor authentication

টু-ফ্যাক্টরঅথেনটিকেশন: Two Factor Authentication ডিজিটালনিরাপত্তারনতুনস্তর digital security

অনলাইনে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক লেনদেন এমনকি পরিচয়ও সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু প্রতিদিনই সাইবার আক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভরশীল থাকলে এই তথ্যগুলো খুব সহজেই হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে কার্যকর ও সহজলভ্য প্রযুক্তি হলো টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA)।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এমন একটি নিরাপত্তা পদ্ধতি, যা দুটি ধাপে আপনার পরিচয় যাচাই করে। প্রথম ধাপে থাকে আপনার পাসওয়ার্ড বা পিন অর্থাৎ আপনি যা জানেন, এবং দ্বিতীয় ধাপে থাকে আপনার ফোন, ইমেইল বা অথেনটিকেশন অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া কোড অর্থাৎ আপনার কাছে যা আছে। এই দ্বৈত যাচাইব্যবস্থা হ্যাকারদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়, কারণ পাসওয়ার্ড পেলেও তারা দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা পাড়ি দিতে পারে না।

অনেকেই ভাবেন এই ব্যবস্থা জটিল, কিন্তু বাস্তবে 2FA চালু করা খুবই সহজ। ফেসবুক, গুগল, ইমেইল বা ব্যাংকিং অ্যাপ প্রায় সব বড় সার্ভিসেই আপনি সেটিংসে গিয়ে সহজেই 2FA চালু করতে পারবেন। সাধারণত একটি মোবাইল নম্বর বা অথেনটিকেশন অ্যাপ যুক্ত করলেই যথেষ্ট।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন মানে শুধু সুরক্ষা নয়, এটি ডিজিটাল সচেতনতার প্রতীকও। অনলাইনে নিরাপদ থাকতে চাইলে এই ছোট পদক্ষেপটি নিতে দেরি নয়। এখনই আপনার অ্যাকাউন্টগুলোতে 2FA চালু করুন এবং নিজেকে ও আপনার তথ্যকে রাখুন সুরক্ষিত। প্রযুক্তির যুগে নিরাপত্তাই সাফল্যের চাবিকাঠি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *