নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি: বিভাজন ও গুরুত্ব
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি হলো ডিজিটাল তথ্য ও যোগাযোগের নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যা অননুমোদিত প্রবেশ, ডেটা চুরি ও সাইবার আক্রমণ থেকে নেটওয়ার্ক ও তার সংযুক্ত ডিভাইসগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিকে সাধারণত ছয়টি মূল ভাগে ভাগ করা হয়, যা একসাথে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা জাল গড়ে তোলে।
১. ফিজিক্যাল সিকিউরিটি (Physical Security)
ফিজিক্যাল সিকিউরিটি সরাসরি হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামো রক্ষায় কাজ করে। এতে সার্ভার রুমের নিরাপত্তা, প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত। কারণ, হার্ডওয়্যারে অননুমোদিত অ্যাক্সেস নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা ব্যর্থ করে দিতে পারে।
২. নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল (Network Access Control)
এই স্তর নিশ্চিত করে যে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যবহারকারী ও ডিভাইসই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে। এতে ইউজার অথেন্টিকেশন ও রোল–বেইজড এক্সেস নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত।
৩. ফায়ারওয়াল সিকিউরিটি (Firewall Security)
ফায়ারওয়াল নেটওয়ার্কের বাইরে থেকে আসা অননুমোদিত ট্রাফিক ফিল্টার করে। এটি নেটওয়ার্কের প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর।
৪. ইনট্রুশন ডিটেকশন ও প্রিভেনশন সিস্টেম (IDS/IPS)
IDS সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করে, আর IPS তা প্রতিরোধে কাজ করে।
৫. অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি (Application Security)
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, সফটওয়্যার ও সার্ভিসকে সুরক্ষিত রাখে, কোড এনক্রিপশন ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে।
৬. এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটি (Endpoint Security)
ব্যবহারকারীর ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, অ্যান্টিভাইরাস ও এন্টি–ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করে।
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি একটি বহুস্তরীয় ব্যবস্থা। প্রতিটি স্তর একসাথে কাজ করে সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তাই এই ভাগগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রতিটি আইটি পেশাজীবীর জন্য অপরিহার্য।